নকশালবাড়ি, শিলিগুড়িতে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্পিতা মণ্ডলের মৃত্যু ঘটেছে, যিনি মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর বান্ধবীর বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। ঘটনাটি গোটা এলাকার মানুষকে মর্মাহত করেছে এবং এটি পারিবারিক বিরোধের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ এখন এ ঘটনায় তদন্ত করছে।
পারিবারিক বিরোধের পরিণতি
সূত্রে জানা গেছে, অর্পিতা, নন্দপ্রসাদ হাই স্কুলের ছাত্রী, গত রবিবার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তিনি মেচবস্তি এলাকার বান্ধবী সুজাতা শৈবের বাড়িতে ওঠেন এবং সেখানে থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। দু’দিন ধরে পরীক্ষা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবারও তিনি বান্ধবীর বাড়িতেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্ধবীর বাড়িতে ঘুমানোর পর অর্পিতা আর জাগ্রত হননি। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে তার মা’কে ডাকা হয়। মায়ের ডাকাডাকিতেও সাড়া না দেওয়ায় অর্পিতাকে নকশালবাড়ি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্ত চলছে
অর্পিতার মৃত্যুর কারণ এখনও পরিষ্কার নয়, এবং পুলিশ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই সঠিক কারণ জানার আশা করছে। কুরসিয়ংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় জানিয়েছেন, মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে এবং পুরো তদন্ত প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এক জন ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করা হয়েছে।
মানসিক চাপ এবং পারিবারিক বিরোধ
এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কীভাবে মানসিক চাপ এবং পারিবারিক বিরোধ যুবকদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত যখন তারা পরীক্ষার মতো বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন থাকে। এটি যে শুধু শারীরিক বা বাহ্যিক সমস্যা নয়, মানসিক চাপও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যা কখনও কখনও খুব গভীরভাবে প্রভাব ফেলে।
এখন, পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা করছেন দ্রুত সত্য উদঘাটন করতে। আপাতত, অর্পিতার পরিবার এবং বন্ধুরা শোকে পাথর হয়ে রয়েছেন, এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Comments
Post a Comment